Article

Article

JibOn AhmeD


১৯১৯ সালের জুন মাসে জালিয়ানওয়ালাবাগের হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ‘স্যার’ উপাধি ত্যাগ করার চার মাস পর অক্টোবর মাসে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কলকাতা থেকে শিলং আসেন। এর আগে তিনি অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার একটি আমন্ত্রণ পান এবং তার জন্য শিলংয়ে কিছুটা প্রস্তুতিও নিতে শুরু করেন। এদিকে রবীন্দ্রনাথ শিলং এসেছেন শুনে সিলেটের ব্রাহ্মসমাজের সাধারণ সম্পাদক গোবিন্দনারায়ণ সিংহ মজুমদার, ‘আঞ্জুমানে ইসলাম’, শ্রিহট্ট মহিলা সমিতিসহ বিভিন্ন সংগঠন সিলেট আসার অনুরোধ জানিয়ে কবির কাছে তারবার্তা পাঠায়। সিলেট এম সি কলেজের এক শিক্ষকের পাঠানো তারবার্তা ছিল, ‘Sylhet desires India’s greatest son to

honour her by his visit’. (ভারতের বরপুত্র শ্রীহট্ট ভ্রমণ করে তাকে গৌরবান্বিত করুন)। কবির অস্ট্রেলিয়া যাওয়া হয়নি। তিনি সিলেটেই আসার সিদ্ধান্ত নিলেন। শিলং তখন আসামের রাজধানী, কিন্তু আসামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শহর সিলেট। তখনো সিলেট-শিলং সড়ক তৈ

রি হয়নি। তাই শিলং থেকে সিলেট আসতে হলে চেরাপুঞ্জি ও থারিয়াঘাট হয়ে আসতে হতো । শিলং থেকে চেরাপুঞ্জি পর্যন্ত গাড়িতে এসে খাসিয়া পাহাড়ের নিচে নামতে হতো হেঁটে বা খাসিয়া শ্রমিকের মাথার সঙ্গে ফেটিবাঁধা বেতের চেয়ার ‘থাপা’য় বসে। মানুষের পিঠে চড়ে এ

<center>ই দুর্গম পথযাত্রা রবীন্দ্রনাথের পছন্দ হয়নি। তিনি ট্রেনে আসাম-বেঙ্গল রেলে গৌহাটি-লামডিং-বদরপুর-কুলাউড়া হয়ে বহু ঘুরপথে</center>

Report Page