*/

*/

Source

গান-বাজনা জায়েজ❗️

১২ টি দলিল সহ বণর্না নিন্মে দেওয়া হল:-

গান-বাজনা কখনো হারাম নহে। পবিত্র কুরআন শরীফ এবং হাদিসে গান বাজনা নিয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তত্ত্ব আছে। তাই আমরা গান-বাজনাকে হারাম বা নাজায়েজ বলার আগে তা নিয়ে একটু আলোচনা করা উচিত ।

আল্লাহ্ এবং তার রাসূলের আশেকদের জন্য গান-বাজনা তাদের আত্মার খোরাক। যদি আনন্দ-ফুর্তির জন্য গান-বাজনা করা হয় সেই ক্ষেত্রে অবশ্যই হারাম বলে গন্য হবে।

নিন্মে গান-বাজনা ও নৃত্য সম্পর্কে কিছু দলিল দেওয়ার চেষ্টা করছি:-

বি:দ্র: পবিত্র কুরআন শরীফ ব্যাতিত অন্য কোনো গ্রন্থ বা কিতাবের যথার্থ মর্যাদা রয়েছে। তবে তাতে অন্ধ বিশ্বাসের পক্ষপাতী আমি ব্যাক্তিগতভাবে নই। তবুও যারা হাদিসের গুরুত্ব নিয়ে এর আগের পোস্টে আলোচনা করেছেন তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

✔️১. খাজা মইনুদ্দীন চিশতী (রঃ) - বড় পীরকে গান শুনিয়ে ছিলেন ।

“নিশ্চই রাসূলে খোদা পুরুষ প্রধান
মহা গুনে গুনান্নিত মহা মহিয়ান।"

সেদিন আকাশ ও জমিন একসাথে নৃত্য করেছিল খাজা বাবার গানের ছন্দে।

__সূত্র:- তাযকেরাতুল আউলিয়া ৪র্থ খন্ড__

✔️২. রাসূল (সাঃ) ইন্তেকালের আগে রাসূলের ঋণ ক্ষমা চাওয়ার জন্য হযরত বিলাল (রা:) তাঁর গলায় ঢোল নিয়ে ঢোল বাজিয়ে বাজিয়ে রাসূলের ঋণ ক্ষমা চেয়ে ছিলেন ।
___সূত্র:- তাওয়ারীতে মোহাম্মাদী___

✔️৩. রাসূলের নির্দেশে সেদিন বিলাল (রা:) তাঁর গলায় ঢোল নিয়ে মদকে নিষেধ করেছিলেন কিন্তু ঢোলকে নয় ।
___সূত্র:- বুখারী শরীফ ৬ষ্ঠ খন্ড ৭৩ পৃষ্ঠা___

✔️৪. খাজা বাবা এবং উনার মুর্শিদ ওসমান (রঃ) হারুনী খানকার মজলিসে বসে গান শুনছিলেন । আসরে ৯ ব্যক্তি ছিল। তার মধ্য ২ ব্যক্তির শুধু পোশাক পড়ে ছিল, কিন্তু তারা ছিল না। খাজা বাবা উনার পীরকে জিজ্ঞেস করলে ওসমান হারুনী (রঃ) বলেন। তারা এস্কের জিকিরে খোদার জাতের সাথে লয় হয়ে গেছে। তারা আর কখনো এ পৃথিবীতে ফিরে আসবে না।
___সূত্র:- আনিসুল আরোহা ৮৮ পৃষ্ঠা___

✔️৫. রাসূল (সাঃ) যখন মক্কা থেকে মদিনায় এসেছিলেন হিযরত করে। মদিনার মেয়েরা সেদিন ঢোল বাজিয়ে রাসূলকে গান শুনিয়েছিলেন । রাসূল সেদিন গানকে হারাম বলেন নি ।
__সূত্র:- বুখারী শরীফ ৫ম খন্ড ২২২ পৃষ্ঠা___

✔️৬. আনসারী মেয়েরা আমার রাসূলের হিযরতের সময় নৃত্য করে গান গেয়ে শুনিয়ে ছিলেন। সেদিন রাসূল নিজেই আনন্দিত ছিলেন।
___সূত্র:- বুখারী শরীফ ৫ম খন্ড ২২৩ পৃষ্ঠা___

✔️৭. রাসূল (সাঃ) যখন মা আয়েশার ঘরে গভীর ঘুমে মগ্ন ছিলেন। তখন মদিনার মেয়েরা নৃত্য করে গান গেয়ে নবীর ঘুম ভেঙ্গে দিয়েছিলেন। আবু বকর (রা:) মেয়েদের ধমক দিয়ে থামিয়ে দিতে গেলে, রাসূল তখন আবু বকর (রাঃ) কে ধমক দিয়ে তাদের গাওয়াকে উৎসাহ দিয়েছিলেন।
____সূত্র:- বুখারী শরীফ ১ম খন্ড ২৭৭পৃষ্ঠা___

✔️৮. একদিন জিব্রাঈল (আ:) রাসূলকে সংবাদ দিলেন। উনার গরীব উম্মতগন ধনী উম্মতদের চেয়ে ৪ শত বছর আগে জান্নাতে যাবে। সেদিন রাসূল খুশি হয়ে বলেছিলেন। তোমাদের মধ্য কে গান জানো ? আমাকে গান শোনাও। তখন বধুবী নামক এক ব্যক্তি রাসূল (সাঃ) সহ ভরা মজলিসে গান গেয়ে শুনিয়ে ছিলেন ।
___সূত্র:- কুৎনীত শরীফ ৩৩৭ পৃষ্ঠা____

✔️৯. রাসূল (সাঃ) মূসা নামক তার এক সাহাবীর কন্ঠে গান শুনে সেদিন বলেছিলেন হে মূসা, নিশ্চয় দাউদ নবীর বংশ হতে আমার আল্লাহ্ তোমাকে এই সুর দিয়েছেন ।
___সূত্র:- মূল বুখারী শরীফ ৭৫৫ পৃষ্ঠা___

✔️১০. সায়মা নামক এক মহিলা আমার রাসূলকে কোলে নিয়ে গান গেয়ে শুনিয়েছিলেন।
__সূত্র:- বুখারী শরীফ ৫ম খন্ড ৫৩-৫৪ পৃষ্ঠা পর্যন্ত__

✔️১১. পবিত্র কাবা শরীফ তোয়াফ কালে এক রমনী জুনায়েদ বোগদাদী (রঃ) কে গান গেয়ে শুনিয়েছিলেন।
__সূত্র:- তাযকেরাতুল আউলিয়া ৩য় খন্ড ১৩৭পৃষ্ঠা__

✔️১২. মসজিদে নববী তৈরি করার সময় আমার রাসূল নিজেই তারানা গেয়েছিলেন।
__সূত্র:- বুখারী শরীফ ৬ষ্ঠ খন্ড ১৯৮ পৃষ্ঠা___

উপরের দলিলগুলো যদি আপনাদের বিশ্বাস না হয়, তাহলে আপনারা নিজেরাই উক্ত হাদিস পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখতে পারেন। গান-বাজনা এবং নৃত্য কে সরাসরি হারাম বা নাজায়েজ বলা উচিত নয়। কারন তুমি আল্লাহ্কে যেভাবে যে অবস্থায় স্বরণ করো আল্লাহ্ তাতেই সাড়া দেবেন।

তাছাড়া কোরআন শরীফের এক জায়গায় শানে নুযুল এ বলা আছে দাউদ নবী (আঃ) এর বাশির সুরের কথা, তিনি ভালো বাশি বাঁজাতে পারতেন।

আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিকটা বুঝার তৌফিক দান করুন। আমিন। ♥️

Report Page